স্ত্রীর স্বীকারুক্তি নিজ হাতে খুন করে তার স্বামীকে
চুয়াডাঙা প্রতিনিধিঃশীর্ষ নিউজ ২৪.ডটকম
রবিবার দুপুরে চুয়াডাঙা জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা দর্শনা থানায় সাংবাদিকদের এক প্রেসব্রিফিং এ জানান গত ৮ জুন রাতে দর্শনা থানার ধান্যঘরা গ্রামে যে ফল ব্যাবসায়িকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিল তা গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার মুল তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
সহকারি পুলিশ সুপার জানান ঐদিন সন্ধায় এন জি ও ঋন নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।এর পর গভির রাতে স্ত্রী মহিমা খাতুন (৪০) স্বামী বাবর আলি(৪৫)কে ধারালো হাসুয়া দিয়ে গলাই জোরালোভাবে কোপ মেরে জাপটে পড়ে থাকে।স্বামী একেবারে নিরব নিথর হয়ে যায়।পরে তার স্ত্রী চিৎকার করতে থাকে।এ সময় পাড়া প্রতিবেশি এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান রক্ত ক্ষরনে অনেক আগেই মারা গেছে।
পরদিন নিহতের ভাই সাবের আলি বাদি হয়ে দর্শনা থানায় অজ্ঞাত আসামী দিয়ে মামলা দায়ের করে।পরদিন সন্ধায় দর্শনা থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী মহিমা খাতুনকে থানা হেফাজতে নেয়।সেখান স্ত্রী মহিমা খাতুন উল্টাপাল্টা ও অসংলগ্ন কথা বল্লে পুলিশের সন্দেহ হয়।পরে চুয়াডাঙা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশে পুলিশ কৌশলে জিজ্ঞাসা করলে স্ত্রী মহিমা খাতুন নিজেই তার স্বামীকে হাসুয়া দিয়ে জবাইকরে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন।
সহকারি পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা জানান হত্যা কান্ডে ব্যাবহারিত হাসুয়া, জবানবন্দির স্বীকারুক্তির কাগজপত্র সহ তাকে রোববার বিকালে চুয়াডাঙা কোট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।হত্যাকান্ডে ব্যাবহারিত হাসুয়া ঘরের খাটের বিছানার নিছ থেকে উদ্ধার করা হয়।এ সময় আটক ঘাতক স্ত্রী মহিমা খাতুন, দর্শনা থানার ওসি তদন্ত আমাননুল্লাহ,ওসি অপারেশন
নিরব হোসেন ও সেকেন্ড অফিসার আহম্মেদ বিশ্বাস সহ সাংবাদিকরা উপস্হিত ছিলেন। উল্লেখ গত ৮ জুন গভির রাতে চুয়াডাঙার দামুড়হুদা উপজেলার ঘান্যঘরা গ্রামের আঃ ছাত্তারের ছেলে ফল ব্যবসায়ি বাবর আলিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।