সংবাদ সম্মেলনে মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায় খুশি রসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা,সংবাদ সম্মেলনে মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) এর পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন, অপপ্রচার, আন্দোলনের নামে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা ও নগরীর পরিবেশ নষ্টের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। এ সময় হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আন্দোলনের সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তারা। একই সঙ্গে মৌখিক দাবির প্রেক্ষিতে

বর্তমান বাজার দরের উপর ভিক্তি করে সম্প্রতি তাদের বেতন বৃদ্ধি করায় সিটি মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পরিচ্ছন্নতা কর্মী।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রংপুর সিটি কর্পোরেশন ভবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জীবন চন্দ্র দাশ ও চঞ্চল বাসফোঁড়। এসময় ঝাড়ুদার, ভ্যানার, ট্রাক চালকসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে জীবন চন্দ্র দাশ বলেন, আমরা রংপুর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সিটির পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সম্মানিত মেয়র মহোদয়ের নির্দেশ ও তদারকিতে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে আসছি।

সম্প্রতি আমাদেরকে নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য ও ইন্ধন দিয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে আসছিল। আমরা ওই মহলের ইন্ধনে প্রভাবিত না হলেও আমাদের সম্প্রদায়ের একটি অংশ মহলটির ইন্ধনে নানান রকম অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি আন্দোলনের নামে নগরীতে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করে।

এখন তারা শান্তিময় এই নগরীর সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের এধরণের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুই-তিন ঘণ্টার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সিটি মেয়রের সবধরণের সহযোগিতা পেয়ে আসছি বলেই আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন রংপুর মহানগরী অনেক বেশি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।

আমাদের কাজের সুবিধার্থে নগরীতে রাত্রীকালীয় আলোর ব্যবস্থা, যাতায়াত ও নিরাপত্তা সুবিধা বাড়ানোসহ অন্যান্য বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। মেয়র আমাদের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছে।

এছাড়া নিরাপত্তা সরঞ্জাম হিসেবে আমাদেরকে মাস্ক, হেড লাইট, সু-গ্লাভস, আইডি কার্ড প্রদান করাসহ সময় উপযোগী অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছেন।

জীবন চন্দ্র বলেন, এটি স্থায়ী চাকরী না হওয়াতে আমাদের অনেকেই স্বেচ্ছায় এই কাজ ছেড়ে দিয়েছে, কেউবা পেশা বদল করেছে। তবে দায়িত্ব পালনকালে কোনো সমস্যা হলে আমরা সবসময়ই মেয়রের সহায়তা পেয়েছি।

বিশেষ করে আমাদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার সৎকারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ সুবিধাও পেয়ে আসছি।

নারীদের গর্ভকালীন ছুটি ও প্রসূতি মায়ের চিকিৎসার জন্য অনুদান প্রদানে মেয়র আমাদের আশ্বাসও দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে চঞ্চল বাসফোঁড় বলেন, সম্প্রতি হরিজনদের একটি অংশ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে ময়লা-আবর্জনা ফেলে সিটির সুন্দর পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করেছে।

আমরা স্পষ্ট করে বলছি, স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে প্রভাবিত হরিজন সম্প্রদায়ের একটি অংশের আন্দোলনের সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তাই আপনারা আমাদের ভুলভাবে কোথাও উপস্থাপন করবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *