শ্বেতী রোগ কি? এ রোগের কারণ?

শ্বেতী রোগ ও এর প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন অরোরা স্কিন অ্যান্ড হেয়ার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমান।

 

শ্বেতী রোগ কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, শ্বেতী রোগ, যেটাকে আমরা মেডিকেলের ভাষায় ভিটিলিগো বলি, আমাদের দেশে এটি খুব কম একটি ত্বকের সমস্যা; যে সমস্যায় আমাদের যে ন্যাচারাল কালার, সে কালারটা আসলে চলে যায়। আক্রান্ত স্থানটা সাদা হয়ে যায়। আমাদের ত্বকের রংটাকে মেইনটেইন করার জন্য, বিশেষ করে মেলানোসাইড বলে আমাদের ত্বকে একটি কোষ আছে এবং এই মেলানোসাইডের কাজ হলো মেলানিন নামক একটি কালার তৈরি করা, যেটি আমাদের স্কিনের ডিফারেন্ট কালার—একেক জনের একেক কালার—এই সেলটা যখন ধ্বংস হয়ে যায়, এটাকে আমরা বলি অটোইমিউন কারণ, তখন ওই আক্রান্ত স্থানে—মেলানোসাইড ধ্বংস হলে আর মেলানিন তৈরি হয় না, তখন কী হয়, ওই আক্রান্ত স্থানটা সাদা হয়ে যায়। এটাই হলো শ্বেত রোগ বা শ্বেতী।

 

এর কারণ কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকৃত কারণ মেডিকেল সায়েন্সে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অটোইমিউন; অটোইমিউন বলতে আমাদের বডির একটা ডিফেন্স সিস্টেম আছে, যেটাকে আমরা প্রতিরোধক্ষমতা বলি, এই ডিফেন্স সিস্টেম মেলানোসাইডকে মনে করে যে শত্রু। তখন মেলানোসাইডকে ধ্বংস করে দেয়। এটাকে আমরা বলি অটোইমিউনিটি। মেলানোসাইড যখন ধ্বংস হয়ে যায়, তখন ওই জায়গাটা সাদা হয়ে যায়, মানে কালার থাকে না। মূলত এটাকে প্রধান কারণ হিসেবে এখনও পর্যন্ত গণ্য করা হয়।

 

ডা. মাহবুবুর রহমান যুক্ত করেন, জিনগত সংযোগ, বংশগত সংযোগকেও শ্বেতী রোগের কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ছাড়া অক্সিডিটিভ স্ট্রেস বলে আরেকটা কারণ আছে, যে জন্য কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা অনেক রোগের প্রধান কারণে একটি। চুল পড়ার একটি প্রধান কারণ মানসিক চাপ বা উদ্বেগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *