শীতের এই সময়ে প্রায় সব বয়সের মানুষেরাই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক হিসাব বলছে, শীতের কারণে ঠাণ্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে চার হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শীতের প্রভাবে বাদ পড়েনি শিশুরাও। এসময় নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা ফারুক তন্দ্রা বলেন, শীতের সময় দেখা যায় যে শিশুরা পোশাক ঠিক মতো পড়তে চায় না, কানটা হয়তো বাইরে থাকে, ঠাণ্ডা পানি খায়- ফলে রোগাক্রান্ত হয়ে পরে।
তিনি বলেন, শিশুরা এ সময় ঠাণ্ডা পানি ও ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে খাপ-খাওয়াতে পারে না। তখন বাচ্চাদের টনসিল ফুলে যায়।
শীতের সময় বাতাসে অনেক জীবাণু বেশি থাকে। বিশেষ করে ভাইরাস বেশি থাকে যা শ্বাস নালীর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মামসের মতো রোগের সৃষ্টি করে।
“অনেক সময় দেখা যায় যে, বাড়ির বড় কারো ঠাণ্ডা লাগলে তারা শিশুদের সামনে হাঁচি বা কাশি দেয়। একটা বড় মানুষের হাঁচিতে লক্ষ লক্ষ জীবাণু থাকে। যা বাচ্চাদের শ্বাসের মাধ্যমে ঢুকে তাদেরকে আক্রান্ত করে ফেলে,” তিনি বলেন।
বাইরের খাবার এ সময় একদমই খাওয়া উচিত নয়। যেমন ফুচকা, চটপটি, বাইরের পানি, চা-এগুলোতে এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে যা শীতের সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া দেখা দেয়।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হেলেনা বেগম বলেন, “শীতের সময় এই রোগগুলো বেশি হয় কারণ কিছু কিছু ভাইরাস থাকে যা শুধু শীতের সময়েই মাল্টিপ্লাই হয় বা আক্রমণ করে। এছাড়া বাতাসও অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। ফলে ইনহেলেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়”।