মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার।
মো:হালিম শেখ,বিশেষ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ জেলা শিবালয় উপজেলা ফলসাটিয়া গ্রামে সোহাগ মিয়ার মেয়ে হুমায়রা আক্তার ওরফে ময়না (১৫) নামক এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। জানা গেছে , হুমায়রা আক্তার ওরবফে ময়না মহাদেবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ৬ ই আগষ্ট রবিবার ময়না সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে ফলসাটিয়া বাস স্ট্যান্ড আসে।
ঠিক ঐ সময় তার পূর্ব পরিচিত (বন্ধু) তরিকুলের সাথে দেখা হয়। তরিকুল এর সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তরিকুল তাকে বলে চলো সামনে যাই নির্জনে বসে একটু কথা বলব। তখন মেয়েটিকে তরিকুলের সাথে নিয়ে একই গ্রামের কথিত তরিকুলের বন্ধু ফলসাটিয়া গ্রামের আওলাদের ছেলে ফয়সালের বাড়ি চলে যায় ।
তরিকুল ময়নাকে ফয়সালদের ঘরে নিয়ে খাটে বসে গল্পের এক পর্যায়ে সেখানে ফয়সালের বাসার পাশের আরও দুই(২)বন্ধু আল-আমিন ও রাহুল অবস্হান নেয় একই বাসায়।ভুক্তভোগী ময়নাকে নিয়ে তারা ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় ফয়সালদের খাটের উপর বসে গল্প করছিল।
ঐ দিন ঠিক ১২:৩০ ঘটিকার সময় ফলসাটিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ১.মোঃ হাসান (২৭) আমজাদ হোসেনের ছেলে ২.সজীব মিয়া (২২) চান মিয়ার ছেলে ৩.মোহম্মদ রুবেল মিয়া (২৫) ও খলিল মিয়ার ছেলে ৪.মোহাম্মদ বিজয় মিয়া (২২) ফয়সালদের ঘরে এসে তাদেরকে বেড় করে দিয়ে মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৪ জন জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঐ দিন বিকেলে ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ধর্ষণের পর তারা ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে মেয়েটি লোক লজ্জার ভয়ে তার মা-বাবাকে বললেও তারা থানা আসতে বিলম্ব করে। এলাকার লোকজন কানাঘষা করতে থাকলে মেয়েটির বাবা গত ৭ ই আগষ্ট সোমবার সকালে ১. মোঃ হাসান ২. সজিব মিয়া ৩.মো: রুবেল মিয়া ও ৪.বিজয় মিয়া কে আসামি করে শিবালয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং এটি ধর্ষণ মামলায় রুপ নেয় ।
অভিযোগ হওয়ার পরে শিবালয় থানা পুলিশ ফলসাটিয়া এলাকায় ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাতে ওই ৪ আসামি কে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )শাহ-নুরে আলম এর কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ৪ আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। আইন অনুযায়ী তাদেরকে কোটে প্রেরণ করা হবে।
মামলায় উল্লেখিত ২ নং আসামি মোঃ সজিব মিয়া একজন সেনাবাহিনীর সদস্য ।সে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ১৬ এস এপি তে কর্মরত আছে। কিন্তু সে বর্তমানে ছুটিতে বাড়িতে আসলে এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায় বিষয়টি তার ইউনিটকে জানানো হয়েছে।