শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে কে ধর্ষণ,ধর্ষক ধরাছোঁয়ার বাহিরে

শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে কে
ধর্ষণ,ধর্ষক ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

নিউজ ডেক্সঃ রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার দামোদরপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক সরকারি চাকুরিজীবির বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার তিন ছেলে সরকারি চাকুরী করেন।অভিযুক্ত ধর্ষক পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায়, মামলা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামি। এদিকে ধর্ষিতা শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি ৬ মাসের অন্তঃ সত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হলে, বিভিন্ন ভাবে রফাদফার চেষ্টা করে ধর্ষক পরিবার।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের দামোদরপুর এলাকার ফরহাদ মিয়ার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে কাকুলি ১৭(ছদ্মনাম) নানা বাসার পাশের বাড়িতে দুপুর বেলা টিভি দেখতে যায়।

এ সময় বক্তিয়ারপুর আদর্শ গ্রামের ১০ নং ওয়ার্ডের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ(৫১) কাকুলিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ভুক্তভোগীর মা ইয়াসমিন বেগম জানান, গত- ৩০ শে এপ্রিল ২০২২ ইং ঈদ-উল-ফিতর ঈদ উদযাপনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাবার বাসায় বেড়াতে যাই।

পরে মেয়ে কাকুলিকে তার নানার বাড়িতে রেখে ঢাকায় কর্মস্থলে চলে যান তারা। কাকুলি দুপুর বেলা পাসের বাড়ীতে টিভি দেখতে গেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আবুল কালাম আজাদ।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনা কাউকে কিছু জানালে পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি ও মেয়ে কে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে সে। ধর্ষিতার নানা শহিদুল ইসলাম বলেন আমার নাতনি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি জানালে, বাচ্চা নষ্ট করবার পরামর্শ দেন ধর্ষক আবুল কালাম আজাদ। নাম প্রকাশ না কারার শর্তে কাকুলির খালা বলেন,

ধর্ষকের তিন ছেলে ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে, যে কোন পরিস্থিতিতে মামলাটিকে মিথ্যা প্রমানিত করাবেন।

১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, এ ধরনের জঘন্য কাজ কোন মানুষ করতে পারে না। তাই আবুল কালাম আজাদ দোষী হলে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নারী ও শিশু আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষ’র এমন ঘৃন্যত জঘন্য ও অমানবিক অপরাধের রায় মৃত্যু দন্ড কার্যকরের বিধান রয়েছে।

হাজিরহাট মেট্রোপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মেডিকেল রিপোর্ট অনুয়ায়ী ধর্ষণে শিকার হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি যে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি আমরা।

সিনিয়র অফিসার দিয়ে মামলা তদন্ত এবং আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

বর্তমানে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *