শীর্ষ নিউজ টুয়েন্টিফোর নিউজ ডেস্ক :
এদিকে পবিত্র রমজান মাসে আফগানিস্তানে মুসল্লিদের টার্গেট করে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবারও (২৮ এপ্রিল) আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফে আলাদা দুটি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জন নিহত হন।
উল্লেখ্য, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে জনসমাগমস্থলে হামলা বেড়ে গেছে। এসব ঘটনায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তালেবান সরকার। ( সূত্র : রয়টার্স )
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদে জুমার নামাজের পর একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে ৫০ জনেরও বেশি মুসল্লি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) কাবুলের খলিফা সাহিব মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
এখনও হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
মসজিদের প্রধান সাইদ ফাজিল আঘা বলেন, আত্মঘাতী কোনো হামলাকারী নামাজে অংশ নিতে পারেন।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র বিসমুল্লাহ হাবিব জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বেলা দুইটার দিকে পশ্চিম কাবুলের খলিফা সাহিব মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের সময় মসজিদে থাকা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নামাজের সময় ব্যাপক বিস্ফোরণে মসজিদ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। বিস্ফোরণে তার হাত ও পায়ের পাতা পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সাব্বির জানিয়েছেন তিনি বিস্ফোরণের পর মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি করে নিয়ে যেতে দেখেছেন। তিনি বলেন, বিস্ফোরণ খুবই জোরালো ছিল, ভেবেছিলাম কানের পর্দা ফেটে গেছে।
কাছের হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স জানিয়েছেন তিনি হামলায় আহত রোগীদের গ্রহণ করেছেন।
আফগানিস্তানে গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
আফগানিস্তানের তালেবান শাসকেরা গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকে বলে আসছেন তারা দেশ সুরক্ষিত করেছেন। এছাড়া ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় লোকবল নির্মূলের দাবি করে থাকে তালেবান। তবে আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকদের ধারণা আফগানিস্তানে জঙ্গি তৎপরতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বেশ কয়েকটি হামলায় শিয়া মতালম্বীদের নিশানা বানানো হয়েছে। তবে সুন্নি মসজিদও আক্রান্ত হয়েছে।
নিয়মিত আপডেট পেতে
শীর্ষ নিউজ ২৪ এর সঙ্গে থাকুন।