শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
ক্রমেই ভংকর হয়ে উঠছে আতিক। পেশায় রামিস্ত্রী। এলাকয় সব ধরনের অপরাধের সাথে জরিত সে। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিন্তাই,গরু চুরি,বনের গাছ চুরি,রাস্তার গাছ কাট সহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
বহুবার গ্রেফতার হয়ে গেছে জেল হাজতে। বৃহসপতিবার (১০ফেব্রæয়ারী) প্রকাশ্যে একবৃদ্ধের মাথায় গরম চা ঢেলে দেয়। দুই জনকে ছুড়িকাঘাত করে আহত করে। পিটিয়ে আহত করে ৯৫ বছরের বৃদ্ধা সহ চার নারীকে।
আতিক সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বৃহসপতিবার রাতে থানায় পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন ভোক্তভোগীরা। এলাকাবাসীর দাবী ক্রমেই ভংকর হয়ে উঠছে আতিক। ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌর এলাকার দক্ষিন ভাংনাহাটি গ্রামে।
আহতরা হলো ওই গ্রামের মোজাফফরের ছেলে মোকাজ্জল (৪০),সুরু মন্ডলের ছেলে দেলোয়ার মন্ডল (৩০), মৃত আবদুর রহমানের স্ত্রী জামিলা খাতুন (৯৫),আবুল হোসেনের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন (৩৫),জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী খাদিজা আক্তার (৪৫) ও দুলাল মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া (৩৫)।
অভিযোক্ত হলো ওই গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে মো. আতিকুর রহমান (৩৫) ও তার সহযোগীরা।
অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আতিক এলাকার একজন চিহ্নিত অপরাদী। সে মাদক ব্যবসা,ছিন্তাই,চুরি, গরু চুরি,বনের গাছ চুরি, রাস্তার গাছ কাটা সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জরিত।
ইতিমধ্যেই সে গরু চুরির ঘটনায় ধরা পরেছে। বিভিন্ন মামলায় জেল হাজতে গিয়েছে একাধিক বার।
স্থানীয়রা জানায়, আতিক পেশায় রাজমিস্ত্রী হলেও সব ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত সে। তার সহযোগীদের নিয়ে এলাকায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে থাকে। ভয়ে গ্রামের লোক প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
গ্রামবাসীরা জানায়, শ্রীপুর-লোহাগাছ সড়কের দু’পাশে বেসরকারী সংস্থা প্রশিকার উদ্দোগে বনায়ন করা হয়। বনায়ন প্রকল্পের গাছের অংশিদার হলো স্থানীয় একটি প্রশিকা মহিলা সমিতির ৩০ জন সদস্য। একাদিকবার আতিক ওই সড়কের ফালু মার্কের্টে এলাকা থেকে গাছ কেটে নিয়ে গেছে। বৃহসপতিবার বিকেলে আতিক পুনরায় সড়কের পাশ থেকে একটি বড় আকারের আকাশ মনি গাছ কাটতে থাকে।
এসময় স্থানীয় মোকাজ্জল ও দেলোয়ার গাছ কাটতে বাধা দেয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথারী ছুড়িকাঘাত করে। দেলোয়ার ও মোকাজ্জল আহত করে বীর দরপে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে নেয়। আশংকা জনক অবস্থায় মোকাজ্জলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন ডাক্তার। এর আগে সে বৃদ্ধ মনসুর নামে (৮৫) বছরের এক বৃদ্ধার মাথায় গরম চা ঢেলে আহত করে।
কিছু সময় পর পুনরায় আতিক শ্রীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. খোরশেদের উপর হামলা চালায়। বাড়ির লোকজন খোরশেকে ঘরে আবদ্ধ করে রক্ষা করে। উত্তেজিত আতিক এলো পাথারী ভাবে মারপিট করে ৯৫ বছরের বৃদ্ধা সহ চার নারীকে পিটিয়ে আহত করে। অবরোদ্ধ খোরশেদ জাতীয় জরুরী পরিসেবার নম্বর ৯৯৯ এ ফোনকরে পুলিশের সহায়তা চায়। পরে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক প্রদিপ কুমার ঘটনা স্থল থেকে খোরশেদকে উদ্ধার করে।
এঘটনায় ভোক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সাহিদা আক্তার ও দুলাল মিয়া বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে অভিযোক্ত আতিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর হাসপাতালের আরএমও ডা. লিয়ন জানান, মোকাজ্জলের তলপেটে ও বুকে আঘাত ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) প্রদিপ কুমার বলেন,৯৯৯ এর সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এসময় অভিযোক্ত আতিক পালিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।