শীর্ষ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
একইদিনে বাবা-মাকে হারিয়ে অনাথ হয়েছে লালমনিরহাটের দুই বোন। সকালে তাদের মায়ের দেহ মেলে বাড়ির পাশে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায়। পুলিশ তাদের বাবাকে ধরে নিয়ে যায় সন্দেহের বশে। বিকেলে থানায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা শোকাবহ করছে গ্রামবাসীকেও।
কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসে হিমাংশুর মৃতদেহ। থানা হেফাজতে মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠলেও পুলিশের দাবি, এটি আত্মহত্যা। শনিবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে দু’জনের মরদেহ আসে বাড়িতে। গ্রামের শ্মশানে একই চিতায় দু’জনকে দাহ করে গ্রামবাসী।হিমাংশুর ছিলো ছোট চায়ের দোকান আর সাবিত্রী রানী গ্রামে দিনমজুরির কাজ করতেন।
অভাবের সংসারে তারা স্বপ্ন দেখতো সন্তানদের পড়ালেখা করানোর। নবম ও পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা ও প্রিয়সির এখন দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের যোগানও অনিশ্চিত। দুই বোনকে সান্তনা দিতে ছুটে আসছেন গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধি। অনাথ দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন এলাকাবাসী।