আসুন জেনে নিই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড কি?
মাস্টার কার্ড হলো আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের কার্ড যেটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশে ব্যাংকের যে এটিএম কার্ডগুলো পাওয়া যায়; মাস্টার কার্ডও দেখতে হুবুহু একই রকম তবে এটিএম কার্ড এবং মাস্টার কার্ডের মধ্যে তফাৎ আছে৷ ব্যাপারটি খোলাসা করার চেষ্টা করছি-
Technology : Tech News : Tech Tips
ধরুণ, আপনার এটিএম কার্ডে কিছু টাকা জমা আছে। সেই টাকা আপনি বাংলাদেশের যেকোন যায়গায় এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করতে পারবেন। এবার আপনি ঐ এটিএম কার্ডটি নিয়ে যদি আমেরিকায় যান; সেখানের এটিএম বুথ থেকে ঐ এটিএম কার্ড দিয়ে আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না।
কেন সে কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না তার দুটি কারণ হলো-আপনার এটিএম কার্ডটি যে ব্যাংকের সেই ব্যাংকটি আমেরিকাতে নেই। বাংলাদেশে যে ব্যাংক আছে সেগুলোর কোন শাখা ই অন্যকোন দেশে নাই। অন্যকোন দেশের ব্যাংকের শাখাও বাংলাদেশে নাই। ডাচ বাংলা ব্যাংকের নাম শুনে মনে হতে পারে যে; নেদারল্যান্ডসের কোন ব্যাংকের শাখা বোধহয় এটি কিন্তু এই ধারণা সত্য নয়। ডিবিবিএল ব্যাংকটি স্বতন্ত্র এবং নেদারল্যান্ডসের এফএমও ব্যাংকের অর্থায়নে এটি তৈরি করা হয়েছে।
Technology : Tech News : Tech Tips
আমেরিকার এটিএম বুথগুলোতে “টাকা” থাকে না; সেদেশের বুথগুলোতে “ডলার” থাকে। আপনার কার্ডে টাকা জমা থাকায় আমেরিকার কোন এটিএম বুথ আপনার এটিএম কার্ডটি রিড করবে না। একই অবস্থা হবে যদি আমেরিকান কোন লোক বাংলাদেশে এসে এটিএম বুথে গিয়ে ডলার তুলতে যায়। বাংলাদেশের এটিএম বুথে টাকা থাকে কিন্তু ডলার থাকেনা।
উপরোক্ত দুটি সমস্যা সমাধানের জন্যই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড বানানো হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে যেকোন দেশে গিয়ে আপনি সেদেশের কারেন্সি উত্তোলন করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের স্বার্থকতা এখানেই।
যারা ঘরে বসে আয় করেন অর্থাৎ ফ্রীলান্সাররা তাদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যার সমাধান করে মাস্টার কার্ড। বিদেশি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে দেওয়ার পর পেমেন্ট রিসিভ করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি “টাকা” পরিশোধ করেনা বরং তারা “ডলার” পরিশোধ করে। আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে ডলার পরিশোধ করলে সেটি বাংলাদেশিদের জন্য ডলারকে টাকায় কনভার্ট করে দেয়।
আশাকরি, উপরের আলোচনা থেকে এটা বুঝেছেন যে-
ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড কি?