মহিমান্বিত এ মাসের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
লাইলাতুল কদরের মাস : লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত হাজার মাস হতে উত্তম। হাজার মাসে ৮৩ বছর চার মাস হয়। মহিমান্বিত এই রাত রমজান মাসেই। আল্লাহ বলেন, ‘আর আপনি কি জানেন কদরের রাত কী? কদরের রাত হলো হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতে ফেরেশতা ও রুহুল কুদুস (জিবরাইল (আ.)) তার পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে (পৃথিবীতে) অবতরণ করেন। (এ রাতের) আগাগোড়া শান্তি, যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
’ (সুরা কদর, আয়াত : ২-৫)
রমজান মহান আল্লাহর অপূর্ব রহমতের বারিধারায় সমৃদ্ধ এবং তাঁর সান্নিধ্য লাভের সুবর্ণ সুযোগসংবলিত একটি মাস। কাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হচ্ছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এই মাস।
গাল্ফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরবে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শনিবার (২ এপ্রিল) থেকেই শুরু হচ্ছে রোজা।
খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি স্থানে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। সৌদির চাঁদ পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আবদুল্লাহ-আল-খুদাইরি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যেসব কারণে রমজান মাসের এত গুরুত্ব:
মাহে রমজানের প্রতি ঈমানদারদের অনুরাগ ও আগ্রহ সীমাহীন। রোজার মতো গুরুত্বপূর্ণ আমলের জন্য মহান আল্লাহ এই মাসকে নির্ধারিত করেছেন।
কোরআনের মাস : মহান আল্লাহ মানবজাতির হিদায়াতের জন্য সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন রমজান মাসে অবতীর্ণ করেছেন। কোরআনের সূত্র ধরেই রমজান শ্রেষ্ঠ মাস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)