কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের তীব্র স্রোতে অবদা বাঁধ ও তীর রক্ষা প্রকল্পের ধস
মোবাশ্বের নেছারী নিজস্ব প্রতিবেদন (কুড়িগ্রাম)
ব্রহ্মপুত্রের পানির তীব্র স্রোতে অবদা বাঁধ ও তীর রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। ফলে এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক। হুমকির মুখে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রামসহ হাজারো একর ফসলি জমি। অবদা বাঁধ ও তীর রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।সরে জমিন দেখা গেছে ,
পানি বৃদ্ধির কারনে ফুলে ফেঁপে উঠছে ব্রহ্মপুত্র নদ। ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ কাঁচকোল সুইজ গেট সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার অবদা বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। তীব্র স্রোতে ডেবে গেছে প্রায় ২০ মিটার পিচিং, ভেঙ্গে যাচ্ছে বাঁধ। ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে হাজারো একর ফসলি জমি। রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সড়কটারী, শিমুল তলা বাঁধ গ্রাম, পাঁচাগ্রাম, পূর্ব ভাটিয়াপাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রাম হুমকির মুখে।
রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেয়ায় ভাঙ্গন ও প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতির কারনে আজ এই ধস এবং আতঙ্ক অভিযোগ করে কাঁচকোল এলাকার মানুষজন জানান, ভাঙ্গন বা ধস দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেন এবং জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করলেও কাজের ধিরগতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বারবার ধস ও ভাঙ্গনের আতঙ্কে পড়ে এলাকাবাসী।
তারা আরো বলেন, এই বাঁধ ভেঙ্গে গেলে শুধু রানীগঞ্জ নয় উপজেলা সদরও পড়বে হুমকির মুখে সেই সাথে চলমান বন্যায় নিমিষেই তলিয়ে যাবে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামসহ উলিপুর উপজেলা সদর সহ পানিবন্দি হয়ে পড়বে লক্ষাধিক মানুষ। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে হুমকির মুখে পড়বে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম নিঃস্ব হবে হাজারো পরিবার।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, বাঁধের পূর্ব দিকে চর পড়ায় পানির প্রবল স্রোতে এই ধস দেখা দিয়েছে, তিনি আরো বলেন বাঁধসহ ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধস এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলছে, আশা করি আর সমস্যা হবে না।