১৩ বছরের মধ্যে তেলের দাম সর্বোচ্চ
২০০৮ সালের পর এবারই প্রথম তেলের দাম এতটা উচ্চস্তরে পৌঁছাল বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড ওয়েল ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলারে উঠে গেছে, যা ছিল এর আগে ১৩০ ডলার।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার ধাক্কা খেয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের খরচ বেড়ে গেছে বহুগুণ।
জ্বালানি তেল রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় দেশ রাশিয়া। সৌদি আরবের পরই দেশটির অবস্থান। তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে তেলের দামে বেকর্ড ছুয়েছে। তাছাড়া রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যা দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
এ ছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ওয়েল ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ফলে আজ সোমবার এশিয়ার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।
ইনডিপেনডেন্ট আরও জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে ১ লিটার পেট্রলের গড় দাম ১৫৩ পাউন্ডে পৌঁছেছে, যা আগে ছিল ১৫২ পাউন্ডে।
এর আগে মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসির এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, আমরা এখন আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের দেশে রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে খুব সক্রিয় আলোচনা করছি। একই সঙ্গে আমরা এটাও আলোচনা করছি যে বিশ্বব্যাপী তেলের সরবরাহ কীভাবে বজায় রাখা যায়।