বাংলার মান”
———কবি শাহাজামাল মিয়া
বাংলার এতো মান
কৃষি কাজ করে মোরা
ফলাই ক্ষেতে ধান।
ক্ষেতের মাঠে যখন
করি কৃষি কাজ
চারদিকে কৃষাণের
গানে উল্লাস।
ক্লান্তি করি দূর
কাটে চৈত্র-বৈশাখে
ক্ষেতের ধান।
আষাঢ়-শ্রাবণে
আসে নতুন অনির্বান।
তাইতো এ দেশের
অনেক উঁচু মান।
দুই মাস পর পর
হয় উত্থান-পতন।
ছয় ঋতুর দেশ
আমাদের আছে চলোমান।
এক এক সময় পাই
এক এক উপাদান
আম, কাঁঠাল,লিচু,কলা
আছে জাম-জামরুল।
আরো কতো কিছু আছে
নেই তার কূল।
মেহের করিয়া তিনি
দিলেন এতো কিছু
ধরে যদি রাখি মোরা
তবেই তো উঁচু।
“মনিবের ভালোবাসা”
————কবি শাহাজামাল মিয়া
কুকুর ডাকে রাত দুপুরে
জোলদি উঠো ভাই,
চোর এসেছে তোরাম বাড়ী
ডাকছি তোমায় তাই।
মাল-ছামানা বাহিরে রেখে
ঘুমিয়েছো তোরা ঘরে,
খাওয়ার সময় খাইলে সবে
আমায় পিছিয়ে ফেলে।
মাছ-মাংস খাইলে সবে
আমায় একটুও না দিলে,
শেষের বাড়ে দিলে
পেট নাহী ভরে।
খেয়েছি ভাই অধীন যে তাই
ঘুমাইতে না পরি,
তোমরা সবাই ঘুমইতেছো,
আমি যে প্রহরি।
“ও সুন্দরী”
——কবি শাহাজামাল মিয়া
ও সুন্দরী যাচ্ছ কোথায়
নামটি তোমার কি,
কোন গ্রামে বাড়ী তোমার,
পিতার নাম বা-কি?
মধুপুরে বাড়ী আমার
মধ্যপাড়া গ্রাম,
যাচ্ছি আমার খালার বাড়ী,
মর্জিনা আমার নাম।
পিতার নামটি আজিজ মিয়া
আলতাফ দাদুর নাম,
নন্দিপুরে যাচ্ছি আমি
মন্দিরপাড়া গ্রাম।
ও পথিক ভাই-(?)
কেনবা এতো হাফাই-থাপাই,
কোথা হতে আচ্ছি আমি,
কোথায় যাই-তা যাই?
রূপ দেখিয়া গা-জ্বলিয়া
হইলো আমার ছাই,
তাইতো তোমার নাম ঠিকানা
জানিয়া লইতে চাই।
ফয়জার রহমান রানু
উলিপুর, কুড়িগ্রাম।
তাং ০২-১১-২২ইং
০১৭৪২-৮২৭০৪১