বহু দুর থেকে দেখি
উইলিয়াম (আল-আমিন), বাবুখাঁ, রংপুর।
মৃত্যুর পর আত্মা যদি পৃথিবীতে বিচরণ করে আমিও তোমাদের মাঝে বিচরণ করি।
উপলব্ধি, দুরদৃষ্টির জন্য স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ পেয়েছো আমি পরিবারের বন্ধন থেকে দুরে, কাছে টানলেও জানো- অন্ধকার কুটিরে জ্বালা যন্ত্রণায় দিন কেটে যায়।
আমি কি ব্যক্তি কেন্দ্রিক, স্বার্থপর, সেদিনের কথা মনে পড়ায়।
পাকিস্তানী প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পন করে সঙ্গীকে রক্ষা করেছিলাম।
জেল খানায় খুঁড়েছিল কবর, আমি কি মৃত্যুর ভয় পেয়েছিলাম? তাদের শোষণেও মৃত্যু জেনেও হাঁসি মুখে নিয়েছিলাম।
চিন্তা-চেতনা,ভাবনা তোমাদেরকে তো নিয়ে মাথায় ঘুরপাক করত,
আমি দোষী, কিন্তু একটি পরিবার, একজন নিষ্পাপ শিশু তারাও অভাগা, মার্চে থাবায় আত্মচিৎকার দুর থেকে শোনা যেত।
তাহাদের আর্তনাদ আহাজারি পৃথিবীর আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায়, অশ্রু জ্বলে বুক ভরা বেদনা নিয়ে আজও কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
তারা পৃথিবীতে ছোটাছুটি করে, বিশ্বাস হয় না- মার্চের দিনটি বেশি উপলব্ধি, যদি সামনে বলে যেতাম পারতাম।
গভীর ষড়যন্ত্র জানা নেই, একুট ভুলে ভাষাকে হারিয়ে ফেলতাম। কিছু বিপথে বাঙ্গালী নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য গর্ভধারীনি মাকে পাকিস্তানী পশুদের কাছে তুলে দিয়েছিল।
ভাবতে গা শিউরে উঠে, তারা সেই রাত্রিতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।আজ প্রবীণেরা জেগেছে, উপলব্ধি করতে পেরেছে আনন্দ বেদনার সে দিনের, দেশ প্রেমিক সৈনিকরাও জেগেছে,
এ যে, বড় দায়িত্ব তারা সাময়িকভাবে বিছিন্ন পরিবার থেকে
ঘুম নেই, খেতে চাইলেও ঠিক মতো খাবার ঢুকে না মুখে। জীবন বিসর্জন দিয়েছে, ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য।
কর্তব্যে একই পোশাকে দিন কেটে যায়, করবে তাদের মান্য। পরণের পোষাকগুলো ময়লা হয়ে গেছে খেয়াল রাখে না।
বিবেকের কাছে বন্দি, পরিবারের কথা মনে পরলেও যেতে পারেনা।
প্রবীণদের ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে অনেক বছর ধরে আমি বহুদুর থেকে দেখি, তারাও আনন্দে আত্বহারা হয়ে পড়ে।
পৃথিবীর আনাচে কাঁনাচে আমাদের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই যে দেশে যত দেশপ্রেমিক সে দেশ তত উন্নত বলে যাই। দেশ প্রেমিক সৈনিকেরা দেশেরই শুধু জন্য
প্রজন্ম হতে প্রজন্মরাই করবে তাদের মান্য। প্রজন্মরা তোমাদের দেশ প্রেমিক হতে হবে ভবিষ্যতে দেশতো তোমরাই আগলে রাখবে। ওরা অন্ধকারকে আলো দিয়ে ঢাকতে চেয়েছে।
দুরদর্শিতা উপলব্ধির জন্য জাতীস্বত্বাকে কেড়ে নিতে কি পেরেছে! প্রজন্ম থেকে প্রজন্মরাই স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশটাকে ধরে রাখবে। কিছু চাই না, তোমরা কি তোমাদের মাঝে আমাদেরকে ঠাঁই দিবে।
উৎসর্গ, শ্রদ্ধেয়, তাত্ত্বিক কবি, মোঃ আবুল কাশেম মওলা ব্রাদার্স, কাচারী বাজার, রংপুর।