ফেসবুকে পরিচয়,ডেকে নিয়ে হত্যা,মাস পর যুবকের বস্তাবন্দী
লাশ উদ্ধার
আব্দুস সালাম রানা,নির্বাহী সম্পাদক: শীর্ষনিউজ২৪ডটকম
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় রাজধানীর ঢাকা থেকে যুবককে ডেকে এনে গাজীপুরের শ্রীপুরে আটক করে রেখে অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয় আমির হোসেনকে (২৫) নামের এক যুবককে। নির্যাতন করে মারার পর লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় বসত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে।
ঘটনার ৫ মাস পর (১৭ মে) বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দরগার চালা গ্রাম থেকে পুলিশ ওই যুবকের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনার একমাত্র অভিযুক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারী তারেক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
ভিকটিমের বাসস্থান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন জানান, শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিম খন্ড (দারোগাচালা) এলাকার রহিম মোল্লার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় আমির হোসেনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার তুলাচারা গ্রামে। তিনি রাজধানীর দক্ষিণখান থানার আঁশকোনা এলাকায় থাকতেন। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওই এলাকা থেকে নিখোঁজ হন আমির হোসেন। বহু খোঁজাখুঁজির পর গত ১৩ এপ্রিল ভুক্তভোগীর বড় ভাই দক্ষিণখান থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমিরের সঙ্গে পরিচয় হয় তারেক আহমেদ নামে একজনের। তারেক পোশাক শ্রমিক পরিচয়ে শ্রীপুরের পশ্চিম খন্ড এলাকায় মনির হোসেনের বাড়িতে ঘর ভাড়া বাসায় বসবাস করত। মূলত সে ছিল ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।
পরিচয়ের সূত্রে আমির হোসেনকে শ্রীপুরের বাসায় ডাকে তারেক। গত ২৫ ডিসেম্বর সেখানে গেলে আমিরকে জিম্মি করে তার ভাইয়ের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় জিম্মি করে রাখে তারেক।
জিম্মি অবস্থায় ভিকটিমের স্বজনরা যোগাযোগ না করার কারণে (২৮ ডিসেম্বর) আমির হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের বাড়ির রহিম মোল্লার পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর তারেক নোয়াখালীর হাতিয়ায় চলে যায়।
বুধবার সকালে উপজেলার তাজুল ইসলাম জামে মসজিদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তারেকের বাড়ি নাটোর সদরের রুয়েরবাগ গ্রামে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীপুর থানার সহায়তায় আমিরের লাশ উদ্ধার করে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
দক্ষিণ খান থানার এসআই রেজিয়া খাতুন বলেন, নিহতের বড় ভাই বিল্লাল হোসেনের করা অপহরণ মামলায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উক্ত মামলার আসল কারণ এবং লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।