পলাশবাড়ীর সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

পলাশবাড়ীর সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

মতিন মোহাম্মা|পলাশবাড়ী গাইবান্ধাঃ শীর্ষনিউজ ২৪.কম

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবণ নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সেই কাজটি পান গাইবান্ধার ফরহাদ হোসেন নামের একজন ঠিকাদার। কাজের শুরু থেকে তিনি ব্যাপক অনিয়ম করছেন বলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান।

নির্মাণাধীন ভবনটিতে নিম্নমানের ইট, খোয়া এবং ছোট ছোট রড ঝালাই দিয়ে ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগকারী সাকোয়া-সাতার পাড়া ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বলেন- এই বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজে পাইলিংয়ের কাজে বাঁকা ও নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, “যে পাইলিং গুলো তৈরি করা হচ্ছে, সেই গুলোতে ছোট ছোট রড ঝালাই করে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে বিল্ডিংটি ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আমরা চাই, আমাদের বিল্ডিংয়ের কাজটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা হোক।”

ঠিকাদার ফরহাদের কাছে কাজের অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমার এই সাইটে কোনো প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না। পাইলিংয়ে নিম্নমানের রড এবং ছোট ছোট রড ঝালাই দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন- ” এই অভিযোগ যদি কেউ করে থাকে, তাহলে আমি বলবো ছোট ছোট রড ঝালাই দিয়ে জোড়া লাগিয়ে ব্যবহার করা যাবে।

তিনি এও বলেন, “টুকরো টুকরো রড গুলো দিয়ে আমরা কি করবো? ও গুলো তো নষ্ট করতে পারি না। ঠিকাদার ফরহাদ আরো বলেন-” আমাদের শিডিউল রেটের সাথে রডের দাম কাভার করছে না, তাই আমরা ঝালাই দিয়ে রড ব্যবহার করছি।”

স্কুল কমিটির সভাপতি রহিমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে না পাওয়ায়, তার স্বামী সুজা বলেন- পাইলিংয়ে ঝালাই করা রড ব্যবহার করা হচ্ছে কি-না এর উত্তরে তিনি বলেন, ” রড ঝালাইয়ের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি আমি আপনাদের(সাংবাদিক) মাধ্যমেই অবগত হলাম।”

সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরীতে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি-না, এই সম্পর্কে ঐ স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া বেগম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবির বলেন- “রড জোড়া দিয়ে কাজ করার কথা শুনেছি। কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমনটিও আমাকে জানানো হয়েছে। কাজে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণে সরকারি বরাদ্দের অর্থ যথাযথ ভাবে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *