নীলফামারী সদরে মসজিদের ভিতরে অস্ত্রের আঘাতে কয়েকজন আহত, আটক-২
স্টাফ রিপোর্টার আব্দু সালাম :- নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জীমকে নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মসজিদের ভিতরে দুই পক্ষের মারামারি হয় এতে তরিকুল ইসলাম (৬০) ও নূরন্নবী দুলু (৫০) সহ কয়েকজন মুসল্লি গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩০শে সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজের পর।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। তার পেটের ভুরি বের হয়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তরিকুল ইসলামকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করা হয়। তরিকুল ইসলাম রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু তালহা ও মোয়াজ্জীম মাওলানা সাব্বির হোসেনকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষ চলছিল। অসন্তোষকে কেন্দ্র করে আলমগীর হোসেন শনিবার জোহরের নামাজ শেষে মসজিদের ভিতরে মুসল্লি তরিকুলকে আটকিয়ে রাখেন। এক পর্যায়ে হাতাহাতির শুরু হয়।
এসময় আলমগীর হোসেনের বড়ভাই জাহাঙ্গীর আলম ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরিকুলের পেটে আঘাত করলে মুসল্লি তরিকুলের ভুরি বেরিয়ে যায়। নূরন্নবী দুলু (৫০) নামে এক মুসল্লি আহত তরিকুলকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে জাহাঙ্গীরের ছেলে সজলের হাতে থাকা ধরালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। আহত নূরন্নবী দুলু সহ কয়েকজন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় শহরের জুম্মাপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও তার ছেলে সজলকে (২০) আটক করেছে। জাহাঙ্গীর আলম জেলা শহরের জুম্মাপাড়ার আব্দুল লতিফ আলীর ছেলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই আলমগীর (৪০) পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকে চেষ্টা চলছে। নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদের মধ্যে মুসল্লি তরিকুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকের সিদ্ধান্তে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইমরুল আবেদীন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।