নির্লজ্জের রাজনীতিকদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ
মেস সংঘের সমাবশে সংহতি প্রকাশ করে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, ‘উন্নয়নের রোল মডেল’-এর জিকিরকারী নির্লজ্জের রাজনীতিকদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০২০ইং দু’বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশকালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
বাংলাদেশ মেস সংঘের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মনির সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব আয়াতুল্লাহ আকতারের সঞ্চালনায় এসময় মোমিন মেহেদী আরো বলেন, ঢাকা দেশেল রাজধানী। সেই প্রেক্ষাপটে দেশের প্রাণ কেন্দ্র। আর প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্রস্থল গুলিস্থান এলাকা। অর্থাৎ গুলিস্তান সংলগ্নে মহামান্য রাষ্ট্রপতির “বঙ্গভবন”, সচিবালয়, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, নগর ভবন, জাতীয় মসজিদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত। গুলিস্তানকে কেন্দ্র করে যত অনিয়ম ও নৈতিকতা বহিভূতি কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছে। অবৈধ স্থাপনা আর দখলদারিত্বের কারণে মানুষের চলাচল সংঘাতিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বক্তারা এসময় বলেন, গুলিস্তান পার্ক দখল করে বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে “বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার পাতাল সড়ক মার্কেট মসজিদ, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মার্কেট টয়লেটই নয়, সেখানে মসজিদের ভেতরে সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে।
মুরগী ব্যবসার নামে গুলিস্তানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের সম্মুখভাগ বন্ধ করে স্থাপনা তৈরি করে নোংরা পরিবেশ তৈরি, জনসাধারণের চলাচলের পথে পাকা স্থাপনা করা হয়েছে। গুলিস্তানের রাজপথে মুরগীর বিষ্ঠার উৎক্ষিপ্ত ধুলিকর্ণায় মানুষের মুখম-ল বিবর্ণ হয়। উৎকট দূর্গন্ধে নাশিকায় প্রবাহিত করে বমি প্রবাহিত হওয়ার উপক্রম হয়। পরিবেশের দুশমনরা নগরবাসীকে মুক্ত বায়ূ সেবন থেকে বঞ্চিত করছে।
গুলিস্তান্ এখন দূষিত বায়ূ উৎপাদনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত। অবৈধ বাস-টার্মিনাল আর কাউন্টারের কারণে মানুষের চলাচল চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। পকেটমার, ছিনতাই, টানা পার্টি, মলম পার্টি, মাদকসহ নানা অপরাধে বিস্তার ঘটে এখানে। সকল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তান উৎকট কোলাহলের কেন্দ্র বিন্দুকে পরিণত হয়। মানবন্ধন থেকে মেস সংঘের পূর্ব ঘোষিত ১৩ দফা দাবির লিফলেটও বিতরণ করা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, জাতিসংঘে পুলিশ বাহিনী সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান আনয়ন করা সত্ত্বেও গুলিস্তানে লোক সমাগমন বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রমিক সংগঠনের নামে সারাদিন একাধিক মাইকের আওয়াজে শব্দদূষনের সৃষ্টি করা হয়। মনে হচ্ছে এলাকাটি অপরাধীর স্বর্গরাজ্য। এ ছাড়া পুরো ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটের পরিস্থিতিতে নগরবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ ও দুর্গতিতে ঊষ্মা প্রকাশ করেছেন মেস সংঘ।
বিশে^র দূষিত নগরী ঢাকা শহর যাতে আগামীতে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম আবাসস্থলে পরিণত না হয়- সে লক্ষ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার আহ্বান জানিয়েছে মেস সংঘ। একই সঙ্গে এ পরিস্থিতির উদ্ভাবনের নেপথ্যে জড়িতদের শে^তপত্র জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।
অক্ষরজ্ঞানহীন রিকশার ড্রাইভাররা ট্রাফিক সিগনাল তোয়াক্কা না করা অহরহ দূর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। শহরের রাস্তা ও ওলিগলিতে মলমূত্রের দুগন্ধ রোধ করতে হবে। মেস সংঘের মহাসচিব আয়াতুল্লাহ আকতার বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিগত দু’বারের মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করি। মানুষের দুর্ভোগ ও দূগর্তির কারণে আমাকেও অনেক তিক্ত-বিশাদযুক্ত কথাবার্তা শুনতে হয়।
তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র মহোদ্বয়ের প্রতি অনুরোধ সকল ধরনের অনুরাগ-বিরাগের উর্ধ্বে থেকে নগরবাসীর সেবায় দৃঢ়তার সাথে মনোনিবেশন করুন। বিশে^র বুকে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন। এতে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আখতার সিরাজী, কাজী আহসান উল্লাহ হাসান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, বাংলাদেশ নাগরিক কল্যাণ ফোরামের সভাপতি মো. শহিদুন্নবী ডাবলু প্রমুখ।
নিয়মিত আপডেট পেতে
শীর্ষ নিউজ ২৪ এর সঙ্গে থাকুন।