নিজেই বিপাকে বাইডেন, রাশিয়ার তেল-গ্যাসে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে

শীর্ষ নিউজ টুয়েন্টিফোর নিউজ ডেস্ক :

সংকট কাটাতে রাশিয়ার বিকল্প হিসেবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পাশে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশ দুটির শীর্ষ নেতারা নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনই ধরছেন না। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

 

খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় ও তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌদি ও আমিরাতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়েছে হোয়াইটহাউজ।

 

ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই রাশিয়াকে দমন করার নানা কৌশল নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাইডেন প্রশাসন। সবশেষ রাশিয়ার তেল-গ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা। তবে এই নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার যতটা ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বড় সংকটে পড়েছে ওয়াশিংটন।

 

মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ-আল-নাহিয়ান উভয়ই বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

 

সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও সমর্থন চায় সৌদি আরব। এছাড়া, ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও সৌদি প্রশাসনের সমালোচক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার চায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

 

বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় সৌদি আরবকে একটি ‘নির্বাসিত’ দেশ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অবশ্যই দাম দিতে হবে।

 

অন্যদিকে, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীরব ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আমিরাতও। এ কারণেই সৌদি যুবরাজের মতো আমিরাতের যুবরাজও বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।

নিয়মিত আপডেট পেতে

শীর্ষ নিউজ ২৪ এর সঙ্গে থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *