৮০ রানেই অলআউট হয়ে গেলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ উইকেটটি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন হার্মার। তাইজুলকে ফেরান এই অফস্পিনার। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হার্মার। এ নিয়ে টানা দুই টেস্টে প্রোটিয়ার এই দুই স্পিনার ইনিংসে ১০ উইকেট শিকার করলেন। কেশব মহারাজ ৭ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪০ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিং অলরাউন্ডার কেশব মহারাজ ম্যাচসেরা এবং সিরিজসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টেষ্টে হোয়াইটওয়াশ হল বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও চরম ব্যাটিং ধসে মাত্র ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৩২ রানের বিশাল হার নিয়ে মাঠ ছাড়লো মুমিনুল হকের দল। এর আগে সফরকারীরা ডারবান টেস্টেও হারে ২২০ রানে। দুই টেস্টেই বড় হারে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
সেন্ট জর্জেস পার্কে চতুর্থ দিন সকালে ৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এদিন মাত্র ১৪.৩ বল খেলে বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরমধ্যে লিটন ও মিরাজের ব্যাটে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা কাটায় টাইগাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বদান্যতায় ফলোঅনে ব্যাট করতে নামতে হয়নি বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের ৪৫৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ ২১৭ রানে অলআউট হয়। তবে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে না পাঠিয়ে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে লিড দাঁড়ায় ৪১৩।
বড় লিডের জবাব দিতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধস নামে বাংলাদেশের। মহারাজের ঘূর্ণিতে প্রথম ওভারেই ফিরেন জয়। তৃতীয় ওভারে শান্তকেও ফেরান মহারাজ। এরপর তামিম-মুমিনুল মিলে তৃতীয়দিনের শেষ বিকেলটাও কাটাতে পারেনি। প্রোটিয়া স্পিন বিষে ফিরেছেন তামিমও। বাংলাদেশের হারটা অবশ্য তৃতীয়দিনেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
অসম্ভব কিছু করতে চতুর্থদিন মুশফিককে সঙ্গী করে ব্যাট করতে আসে মুমিনুল। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই মহারাজের বলে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। ৮ বলে মাত্র ১ রান করেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মুমিনুল এবং ইয়াসির আলি রাব্বিও। মহারাজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫ রান করেন মুমিনুল। অন্যদিকে ইয়াসির রাব্বি শূন্য রানে আউট হন সাইমন হার্মারের প্রথম শিকারে পরিণত হয়ে।
দলের এমন বিপদের মূহুর্তে কিছু রান এনে দেন লিটন কুমার দাস এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু দুজনের কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ৩৩ বলে ২৭ রানে লিটন এবং ২৫ বলে ২০ রানে মিরাজ সাজঘরে ফেরেন। একই ওভারে এবাদতকে এলবির ফাঁদে ফেলে ইনিংসে ৭ উইকেট শিকার করেন মহারাজ।