রংপুরের কোতোয়ালি থানার রুহি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর কারণে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রিপোর্টারঃ জীবন চন্দ্র রায়
রুহি (১৮) ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিয়ারঘাট গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে। পুলিশ বলছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনার সূএে এ এস আই নাদীরা আক্তার ও কনস্টেবল আফরোজা বেগমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্তে রংপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় আবু মারুফ হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলম ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মাহব-উল-আলম।
রোববার দুপুরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে রুহির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা এ বিষয়ে জানতে চাইলে , রুহির সঙ্গে রংপুর শহরের বাহারকাছনা রাম গোবিন্দমোড় এলাকার আকাশ নামে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত শনিবার রুহি তার সঙ্গে দেখা করতে রংপুরে আসেন।
আকাশের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনি ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়।
নিয়মিত আপডেট পেতে
শীর্ষ নিউজ ২৪ এ-র সঙ্গে থাকুন।