এসেছে শীতকাল। এসময় কম-বেশি সকলেই চুলের ময়েশ্চার কমে যাওয়া, চুল রুক্ষ্ম হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন।
১। চুল বিশেষজ্ঞ ফিলিপ কিংসলের মতে, তাপমাত্রা কমে গেলে চুল শুষ্ক বাতাস থেকে বৈদ্যুতিক চার্জ নেয়ায় সোজা হয়ে থাকে। বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় শীতের দিনগুলোতে এমনটা বেশি হয়।
এই সমস্যা সমাধানে চুল যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখুন। চুলের ধরন অনুসারে নিয়মিত শ্যাম্পু-কন্ডিশনার বদলে হাইড্রেটিং শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সেক্ষেত্রে আয়নিক হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি অন্যান্য নিয়মিত ড্রায়ারের মতো চুলের আর্দ্রতা হ্রাস করবে না।
এসময় ব্যাগে রাখতে পারেন একটি ড্রায়ার শীট। যখন কোথাও যাচ্ছেন তখন এটি আপনার চুলের উপর হালকাভাবে বুলিয়ে নিন।
২। চুলের আগা ভেঙ্গে গেলে নিরাময়ের একমাত্র উপায় হলো চুল কাটা। তবে চুল কাটার আগ পর্যন্ত তা সুন্দর দেখানোরও কিছু উপায় আছে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩। বাতাসে যখন আর্দ্রতার মাত্রা কমে যায়, তখন চুল শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হতে পারে; এমনকি কিছুটা খড়ের মতোও মনে হতে পারে। কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকায় প্রাকৃতিকভাবেই কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে শুষ্কতার মাত্রা বেশি হয়।
৪। শীতকালে ত্বক যেমন ঘরের ভেতরের গরমে থেকেও শুষ্ক হয়ে যায়, তেমনটা হয় মাথার ত্বকেও। মাথার তালু শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকাতে থাকে। এমনকি চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
এক্ষেত্রে চুল বারবার শ্যাম্পু করলে মাথা পরিষ্কার হলেও ময়েশ্চারাইজার কমে যায়। তাই ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে শুষ্কতার হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়, আবার ময়েশ্চারাইজারও থাকে অটুট।