ফাঁস হওয়া ফিচারগুলি:
রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এর উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে অন্যতম হল– অ্যাপ পারমিশনের অধীনে যোগ হতে পারে নোটিফিকেশন পারমিশন। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলি যেভাবে ক্যামেরা, মাইক, লোকেশন, স্টোরেজ, কনট্যাক্টস, ফোন এবং ক্যালেন্ডার ব্যবহারের জন্য অনুমতি চায়, অ্যান্ড্রয়েডের এই নতুন ভার্সন ব্যবহারকারীদের থেকে নোটিফিকেশন পাঠানোর জন্যও অনুমতি চাইবে। অ্যান্ড্রয়েড-১২ পর্যন্ত ভার্সনগুলিতে অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীদের অনুমতি না নিয়েই স্বয়ংক্রিয় ভাবে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেয়। ব্যবহারকারীরা যদি নোটিফিকেশন ব্লক করতে চান, তা হলে তারা সেটা করতে পারেন। কিন্তু নোটিফিকেশন পাঠাতে তাদের অনুমতির প্রয়োজন হয় না অ্যাপের।
এখানেই শেষ নয়, অ্যান্ড্রয়েড-১৩’তে থাকতে পারে ব্লুটুথ এলই অডিও সাপোর্ট। ব্লুটুথ অডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য যে পাওয়ার কনজাম্পশন হয়, তা কমানো যাবে ব্লুটুথ এলই অডিও-র মাধ্যমে। এটাই নেক্সট জেনারেশন ব্লুটুথ অডিও। এটা শুধু পাওয়ার কনজাম্পশনই কমায় না, সেই সঙ্গে এটা হিয়ারিং এইডসহ নানান ধরনের ব্লুটুথ ডিভাইসের নতুন ভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও জায়গা তৈরি করে।
থাকছে আরও দারুণ আকর্ষণীয় একটি ফিচার। অ্যান্ড্রয়েড-১৩’তে ভাষার ব্যবহারের ওপর ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড-১২ পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা সেটিং অ্যাপে ঢুকে ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ইনপুট সেকশনে গিয়ে পছন্দের ভাষা বেছে নিতে পারতেন। কিছু কিছু অ্যাপের ভিতরও পছন্দের ভাষা বেছে নেয়ার সুযোগ থাকে। এটা সম্পূর্ণ ভাবে ডেভেলপারদের উপর নির্ভরশীল। তবে সব অ্যাপে এই সুবিধা থাকেও না। অ্যান্ড্রয়েড-১৩ এর ক্ষেত্রে এই ফিচারে মিলতে পারে ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ। এতে কেউ চাইলে নির্দিষ্ট ইনফরমেশন স্ক্রিন থেকে সেই অ্যাপের ভাষা বদলাতে পারবেন।
নতুন বছরই প্রকাশিত হবে অ্যান্ড্রয়েডের ১৩তম সংস্করণ। আর ইতোমধ্যেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যান্ড্রয়েডের এই নতুন ভার্সন সংক্রান্ত তথ্য। যদিও বহু স্মার্টফোন ব্যবহারকারী এখনো পর্যন্ত স্ট্যাবল অ্যান্ড্রয়েড ১২ আপডেট পাননি।