কুড়িগ্রামে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ে
বিশৃঙ্খলা
স্টাফ রিপোর্টার, উলিপুরঃ
কুড়িগ্রামে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গেছে। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পরপরই এ বিশৃংখলার সৃষ্টি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমে কোন নিয়ম-শৃঙ্খলা না থাকায় এমন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং অধিকাংশ নারী উপকারভোগী টিসিবি’র পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন। এসময় বঞ্চিত কার্ডধারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রোববার (২০মার্চ) সকাল ১০টা থেকে কুড়িগ্রাম সদর পৌরসভাসহ জেলার ২২টি নির্দৃষ্ট স্থানে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী কুড়িগ্রাম পৌরসভা চত্বরে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে আসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী ও পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা। এ সময় পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান। অতিথিগণ যথারীতি কয়েকজন কার্ডধারীকে পণ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করে চলে যান। এরপরেই সেখানে চরম বিশৃংখলা ও হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। বিতরণ কার্যক্রমে কতৃপক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দলাদলি ও হুড়োহুড়ি করে অনেকে লাঞ্ছিত হন। এ অবস্থায় অধিকাংশ নারী তাদের বরাদ্দের টিসিবি’র পণ্য না নিয়ে ঐ স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন বলে তারা জানান।
পৌর কাউন্সিল রোস্তম আলী তোতা মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান,” আমার ২নং ওয়ার্ডের লোকজন বিশৃংখলা দেখে কয়েকজন কার্ড ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। টাকা দিয়ে পণ্য নিতে এসে ভোগান্তিতে পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধিকাংশ কার্ডধারীরা। উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সরকার ভর্তুকি দিয়ে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের আওতায় ২লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৮০জনকে তালিকাভুক্ত করেন।
বিক্রয় কার্যক্রমের প্রথম দিনে এমন বিশৃঙ্খলা দেখে ভুক্তভোগীদের অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেন।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর সাথে বিতরণ কার্যক্রমে বিশৃংখলার ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, ” আমরা সেখানে থাকা অবস্থায় কোন সমস্যা হয়নি। কার্ডধারীরা যতক্ষন থাকবে ততক্ষন পণ্য দেয়া হবে। এমনটি হওয়ার কথা নয়। আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখবো।
ফয়জার রহমান রানু
উলিপুর,কুড়িগ্রাম।