কি উপহার দিব তোমায়
উইলিয়াম (আল-আমিন), বাবুখাঁ, রংপুর।
আমি অতি সাধারণ, আমার দেবার কিছু নাই,
তুমি যে ত্যাগী বারংবার প্রজন্মকে জানাই।
জন্মদিনে আনন্দের চেয়ে বেদনা বেশি মনে হয়,
আমি কি উপহার দিব তোমায় ?
বিসর্জন দিলে অথচ বড় কষ্ট নিয়ে তুমি চলে গেলে।
জাতি সংঘে দেশটি অন্তর্ভূক্তে বহু বাঁধার,
প্রজন্মরা, বিশ্বমঞ্চে ভাষনের তাৎপর্য আছে জানার।
ষড়যন্ত্রেও তোমার দুরদর্শিতায় পরাজিত ভাই
আমার দেবার কিছু নাই, আমি প্রজন্মকে জানাই।
তুমি যে আত্মকেন্দ্রিক নও, মার্চে গবেষণায় জানা যায়,
জেলখানায় প্রতি মূহুর্ত যন্ত্রণা, ছটপট কিভাবে মানা যায়।
পরিবারের বন্ধন ছাড়া বেঁচে থাকা খুবই কষ্টের হয়,
দেশ, দেশের মানুষের জন্য ছিলে নিরুপায়।
অপেক্ষা শুধু অপেক্ষা
মাতৃভাষার নামে আমাদের দেশ,
পরিচয় দিয়ে প্রজন্মরা স্বাধীনভাবে ঘুরতে যাই বিদেশ।
জাতীয় সংগীত মধুর, তুমি দিলে উপহার
আমি সাধারণ, নগন্য, কি আছে তোমায় দেবার।
একাত্তরে দেশটি যদি স্বাধীন না হত
মায়ের ভাষা যে আমাদের হারিয়ে যেত।
পাক সরজমীন সারবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ।
প্রজন্মরা বুকের ভিতরে কষ্ট নিয়ে বলত।
তুমি মহান, তুমি তো বাঙ্গালী জাতিকে রক্ষা করেছো,
তাই তুমি জাতির পিতা উপাদি পেয়েছো।
উপাদি তো তুমি তুলে নাওনি, পাকিস্তানের কষ্ট কেন হয়?
তারা এখনও জ্বালায় পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রজন্মরা মানুষ যদি হও তবে,
বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা অনুভূতিতে আনতে হবে।
আমি অতি সাধারণ, আমার দেবার কিছু নাই,
তুমি যে ত্যাগী বারংবার প্রজন্মকে জানাই