শীর্ষ নিউজ টুয়েন্টিফোর নিউজ ডেস্ক :
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে এমন পরিস্থিতিতে আর পড়েনি দেশটির অর্থনীতি। যদিও দেশটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আর্থিক সম্ভাবনার অন্যতম মডেল দেশ হতে পারতো। কারণ এই দেশটি চা উৎপাদনে অগ্রগণ্য, শিক্ষিত জনগণ, পর্যটনখাতে বিপুল পরিমাণ আয় রয়েছে এর পরেও দিন দিন বেড়ে চলেছে ঋণের বোঝা। ভেঙে পড়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থা।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে খাদ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের সংকট, পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে শ্রীলঙ্কায়। জনজীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে দেশটিতে। এরই মধ্যে দেশটির চিকিৎসকরা সতর্ক বার্তা দিয়েছেন, হাসপাতালের সব জরুরি ওষুধ শেষ হয়ে আসছে। শিগগিরই বন্ধ হয়ে যেতে পারে চিকিৎসা কার্যক্রম।
দেশটির মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (এসএলএমএ) জানিয়েছে, চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ওষুধ ও সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতালগুলোতে। ফলে সার্জারি কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে।
অ্যাসোসিয়েশন জানায়, এ পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে সবাইকে সমানভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তারা জানায়, যদি কিছু দিনের মধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বিদেশি ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক করা না যায়, তবে দেশটিতে করোনা মহামারির থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এদিকে, দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করে কার্যালয়ের সামনে দু’দিন ধরে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে না।
নিয়মিত আপডেট পেতে
শীর্ষ নিউজ ২৪ এর সঙ্গে থাকুন।