ঊর্ধ্বমুখী রেমিট্যান্স, আট মাস পর

করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভাটা গেছে। এই মহামারির মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছিলেন।

 

এতে প্রথম দিকে প্রতি মাসেই বেড়েছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। তবে গত এপ্রিল মাসের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স কমতে থাকে। গত ডিসেম্বরে এসে তার অবসান হলো।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৬২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ধরে)। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ কোটি ডলার কম। গত বছরের ডিসেম্বর ২০৫ কোটি ০৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

 

এদিকে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার। ২০২০ সালের পুরো সময়ে এ পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার। সে হিসেবে গত এক বছরে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।

 

অবশ্য গত ছয় মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের ছয় মাসের তুলনায় নেতিবাচক। গত ছয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। আগের বছরের শেষ ছয় মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৯৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এ সময়ে ২৭০ কোটি ডলার কম রেমিট্যান্স এসেছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

 

বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৭ হাজার ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৯৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে রেমিট্যান্স। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসে সে ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ল। এতে টানা আট মাস পর ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরল রেমিট্যান্স।

 

গত ডিসেম্বর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬২ কোটি ৯০ লাখ (১.৬২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। এটি নভেম্বর মাসের তুলনায় ৭ কোটি ডলার বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *