ঈদ নিয়ে নিজের অজানা কথা ব্যক্ত করেছেন : জয়া আহসান :

 

ঈদ মানে দেয়া-নেয়ার পালা: জয়া আহসান

শীর্ষ নিউজ টুয়েন্টিফোর নিউজ ডেস্ক :

ঈদ নিয়ে নিজের অজানা কথা ব্যক্ত করেছেন দুই বাংলার জনপ্র্রীয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এই ঈদে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি তার পারিবারিক ঈদ উদযাপনের কিছু কথা জানিয়েছেন।

 

 

জয়া আহসান মনে করেন, চারপাশের অসহায়দের মাঝে ঈদ ভাগাভাগি করে নিতে পারাই ঈদের সার্থকতা। একে আমরা যাকাত বলি। এই উৎসবে আমাদের প্রত্যেকের অর্থ বা সম্পত্তির কিছু অংশ ‘যাকাত’ হিসেবে অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই হয়। এই রমজান মাস জুড়ে আমি যেমন রাস্তায় আশ্রিত প্রচুর মানুষকে ইফতার করালাম। পোশাক দিলাম। এই দেওয়ার আনন্দই আলাদা।

 

প্রত্যেক মুসলমান এই ঈদে মসজিদে নমাজ পড়তে যাবে। ইসলামে কিন্তু ধনী আর দরিদ্রকে কোথাও আলাদা করা হয় না। বলা হয়, রাজা আর ফকির এক মসজিদে একই কাতারে নামাজ পড়ে। এক পাত্র থেকেই ইফতারের খাবার খায়। ঈদের ‘জামাত’ শেষে কোলাকুলি করে। এটাই আসল ঈদ। নামাজের পরে মসজিদের বাইরে লাইন দিয়ে অনেক মানুষ অপেক্ষা করেন, আর ছেলেরা নতুন পাঞ্জাবি থেকে নতুন টাকা বের করে তাদের দেন। অন্তরের আনন্দকে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেয়াই ঈদের অনুভব। ঈদের শান্তি।

 

 

 

জয়া আহসান বললেন, হাতে মেহেন্দি, আর মায়ের রান্না সেমাইয়ে শৈশব থেকে ঈদ শুরু হয় আমার। তবে ঈদ মানেই দেয়া-নেয়ার পালা। প্রচুর উপহার যেমন পাই, তেমনই প্রচুর উপহার অন্যকে দিতে হয়।টাকা খরচ করতে করতে হাত শূন্য হয়ে যায়। আর ঈদের দিন ঈদ স্যালামীও যেমন দিতে হয়, তেমনি বড়রা দেয় অনেক টাকা। এই দেয়ার মধ্যেই যত আনন্দ! বোনের রান্নাঘর থেকে ভেসে আসবে সেমাইয়ের পায়েসের গন্ধ। এই গন্ধ আমার জীবনে ঈদের বার্তা নিয়ে আসে। মনে পড়ে, মা এ ভাবেই বাড়িতে জাফরান দিয়ে সেমাইয়ের পায়েস রান্না করে।

 

আমাদের বাড়িতে মঙ্গলবার সকাল থেকে মানুষের আসা যাওয়া শুরু হয়। সব সময় মা সব ঝামেলা সামলায়।

 

জয়া আহসানের বাড়িতে ঈদ উৎসব থাকে সাত দিন। ঈদে ছোটরা বড়দের সালাম করবেই। আর বড়রা ছোটদের হাতে স্যালামীতে নতুন টাকার নোট দেবেন। এটা দিতেই হয়। ছোটবেলায় আমরা বাড়ির বড়দের সালাম করতে ছুটতাম। টাকা পাব, এই আনন্দে। এখন আমাকে টাকা দিতে হয়। ব্যাঙ্ক থেকে পঞ্চাশ টাকা, একশো টাকা, পাঁচশো টাকার কড়কড়ে নোট তুলে রেখে দিতে হবে সঙ্গে।

 

 

 

কে কখন সালাম করবে, বলা তো যায় না। এখন তো দেখি ছেলেমেয়েরা সব কুড়ি-তিরিশ হাজার টাকা করে পায়। আমাদের ছোটবেলায় আমরাও পাঁচ-ছ’হাজার টাকা পেতাম। তাই খরচ করতে কয়েক দিন লাগতো।

নিয়মিত আপডেট পেতে

শীর্ষ নিউজ ২৪ এর সঙ্গে থাকুন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *