ঈদুল আজহার প্রথম দিনেই গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছেন মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা

ঈদুল আজহার প্রথম দিনেই গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছেন মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

পূর্ব ঘোষিত ১২ঘন্টা সময়ের আগেই রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার কোরবানীর পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ

যেখানে ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য থাকবে-সেখানেই আমাদের গাড়ি পৌঁছে যাবে” এমন স্লোগানকে সামনে রেখে
পূর্ব ঘোষিত ১২ঘন্টা সময়ের আগেই নগরীর কোরবানীর পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডকে তিনটি জোনে ভাগ করে বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের ১২০টি ট্রলি ও রিকশাভ্যান, ২৭টি ডাম্প ট্রাক, ৩টি কমপেক্টর ট্রাক, ১টি হুইল লোডার, ৩টি ব্যাকহো লোডার, ২টি স্কিড লোডার, ২টি স্কাবেটর, ও ২টি পানিবাহী গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। কোরবানি হওয়া পশু থেকে অনুমানিক ২৫০ মেট্রিক টন বর্জ্য সংগ্রহ করে নগরীর নব্দীগঞ্জ সড়কের কলাবাড়ী এলাকায় ডাম্পিং করা হয়।

এর আগে ঈদুল আজহার প্রথম দিনেই কোরবানির পশু বর্জ্য ১২ঘণ্টা পার না হতেই রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) এলাকায় পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুর ২টায় নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় উক্ত বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

উদ্বোধনকালে মেয়র মোস্তফা বলেন, সকাল ১১টার পর থেকে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েছেন। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে স্তুপ করে রাখা কোরবানীর পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। নগরবাসির সবার সহযোগিতা পেলে ১২ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্যমুক্ত রংপুর নগরী উপহার দেয়া সম্ভব হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১১৭টি স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। পশু জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার রাখার জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ব্লিচিং পাউডারের ব্যবস্থা রয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তিনটি জোনে বিভক্ত হয়ে ৩৩টি ওয়ার্ড থেকে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ করছেন।

মেয়র মোস্তফা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে তিনটি জোনে সিটির কর্মকর্তা, কর্মচারি ও পরিচ্ছনতা কর্মীসহ ১ হাজার ৯৩ জন বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রসিকের প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান মঞ্জু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোন-১ মোঃ মিজানুর রহমান মিজু, জোন-২ হাসান রাহি ও জোন-৩ মাসুদ হাসানসহ কর্মকর্তাবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *