‘আমার একমাত্র চিন্তাই থাকে পাওয়ার প্লেতে ডট বল করা’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগাররা চলে গেছে মূল পর্বে। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে হেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বাংলার ক্রিকেটারদের। স্কটিশদের সঙ্গে হারার ম্যাচে দলের সবাই যখন ব্যর্থ, তখন একজন ছড়িয়েছিলেন আলো। তিনি শেখ মেহেদি হাসান। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া ওমানের সঙ্গেও করেছেন ম্যাচ উইনিং স্পেল। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে চার ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান।

বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো এই স্পিনারের কথা হয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে। শর্টার ফরম্যাটে বোলিং-এর উন্নতির বিষয়ে মেহেদি বলেন, আমি অনুশীলনে নিয়মিত নিজেকে কীভাবে উন্নতি করা যায়, সে বিষয় নিয়ে কাজ করি। টি-টোয়েন্টি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের খেলা এখানে বোলিং করার সুযোগ মাত্র চার ওভার। এই ২৪টি ডেলিভারির প্রতিটি বলই অনেক ভেবেচিন্তে করতে হয়।

প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচেই শেখ মেহেদির যে বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে, তা হলো তার ইকোনমি। ম্যাচের মূল টার্নিং পয়েন্ট ছিল তার বোলিংয়ের সময় ব্যাটারদের আটকে দেয়া। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশ কার্যকর বিষয়। মেহেদি বলেন, আপনি যত ভালো বোলারই হোন না কেন টি-টোয়েন্টিতে রান আটকানো সবসময়ই কঠিন। তাই আমার একমাত্র ফোকাস থাকে ডট বল করার। তিনি আরও বলেন, আমি যে জায়গায় বল করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমি চেষ্টা করি প্রতিটি বল সে জায়গাতেই করতে।

শেখ মেহেদি জানান, সে মূলত রিস্ট স্পিনার না। সে আঙুল ব্যবহার করে বল করেন এবং টি-টোয়েন্টিতে যেসব স্পিনাররা রিস্ট ব্যবহার করে তারাই বেশি সফল বলেও জানান শেখ মেহেদি।

তিনি বলেন, আপনি যদি র‍্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকান। সম্ভবত ৭০ শতাংশ রিস্ট স্পিনার যারা সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০-এ রয়েছে। সম্ভবত, সাকিব ভাই এবং আরেকজন আছেন যারা ফিঙ্গার স্পিনার হয়েও ক্রিকেট বিশ্বে রাজ করছেন। কারণ, তাদের ক্রিকেটীয় মেধা ও অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। তাই এখানে আমাকে ভালো করতে হলে নিজের দক্ষতা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকানোর পর সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। রোবার (২৪ অক্টোবর) শারজায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *